ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মৃত করোনা রোগীর চিকিৎসা নিয়ে দুর্ভোগের অভিযোগ ছেলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
মৃত করোনা রোগীর চিকিৎসা নিয়ে দুর্ভোগের অভিযোগ ছেলের

রাজশাহী: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে মনি তার বাবার চিকিৎসা নিয়ে দুর্ভোগের অভিযোগ করেছেন।

মনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তার বাবার ১৯ দিন থেকে খাওয়া বন্ধ ছিল। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাননি তিনি।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত পদ্ধতিতে তার যথাযথ চিকিৎসা করা হয়েছে। এ ধরনের চিকিৎসায় অবহেলার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ষাটোর্ধ ওই বৃদ্ধের সন্তান মনি বলেন, তার বাবার কখনও শ্বাসকষ্ট ছিল না। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার বাবার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তিনি জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতেন। শেষ ক’দিন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। কথা বলতে পারতেন না। ইশারা ইঙ্গিতে তার সবকিছু বোঝানোর চেষ্টা করতেন।

বাবাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার জন্য বলেছিলেন উল্লেখ করে মনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে ও দুর্ভোগের ভয় দেখিয়ে বাবাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়নি। আইসিইউর কথা বলা হলে তাকে বলা হয়েছে, ‘তোমাকে নিজেকে গাড়িতে করে আইসিইউতে নিয়ে যেতে হবে। রোগের কারণে কেউ গাড়ি নিয়ে আসবে না। থাকা খাওয়ার সমস্যা হবে। যেখানে অনেক দুর্ভোগ। তাই যেখানে তোমার বাবা আছেন, সেখানেই ভালো আছেন। ’

মনি আরও বলেন, রাজশাহী আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানালা থেকে একজন চিকিৎসক তার বাবাকে দিনে একবার মাত্র পর্যবেক্ষণ করতেন। কেউ কাছে না আসায় বাবার শরীরে স্যালাইন পুশ তাকেই করতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, রোগীর স্বজনদের এমন অভিযোগ সত্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করেই তার বাবাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইডি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তার জন্য ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া রামেক হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় গঠিত ইউনিটের প্রধান ডা. আজিজুল হক আযাদের তত্ত্বাবধানে ডা. মামুন নিজে গিয়ে তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীতে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়।

এরপর গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আটজন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়।

এর মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুর একজন ও বাঘা উপজেলায় একজন। তার মধ্যে বাঘার আক্রান্তের মৃত্যু হলো রোববার।

এদের মধ্যে সাতজনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর থেকে এসেছেন। কেবল এই বৃদ্ধেরই কোনো ভ্রমণ ইতিহাস নেই। তাই তার আক্রান্ত হওয়ার উৎস খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা।

বর্তমানে আক্রান্ত সাতজন নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।