ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনসহ অফিসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনসহ অফিসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

ঢাকা: দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব এবং ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে সব মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে সোমবার (১১ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এসব স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, অফিস প্রাঙ্গণের প্রবেশপথে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপন।

প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা। অফিসকক্ষ জীবাণুমুক্ত করাসহ প্রত্যেকের মাস্ক পরা।

স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা:
১. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।

২. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।

৪. অফিসের পরিবহনগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাঙ্ক অথবা তিন স্তর বিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।

৫. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার (ওয়ান টাইম) হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

৬. যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালীন পথে বার বার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৭. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।

৮. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে।

৯. অফিসগুলোতে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

১০. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে থাকতে হবে এবং সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে।

১১. কর্মকর্তা/কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছেন কি-না, তা মনিটরিং করতে হবে। ডিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১২. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

১৩. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বেশকিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অফিস খোলা রয়েছে। সামনে হয়তো আরও কিছু খুলবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।