মঙ্গলবার (১২ মে) নিয়মিত প্রকাশের অংশ হিসেবে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এনফর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এই প্রতিবেদনে অন্যান্য তথ্যের পাশাপাশি ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাস সময়ের বিভিন্ন ডাটা তুলে ধরা হয়।
এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, ২০১৯ এর শেষ ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়ে মোট ১৭৯টি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে ৮৪টি আবেদন করা হয় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। আর ৯৫টি আবেদন করা হয় জরুরি প্রয়োজনে। আর এসব আবেদনের মাধ্যমে মোট ২৯৮টি আইডির তথ্য চাওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪১ শতাংশ আইনি প্রক্রিয়ার আবেদনে সরকারকে তথ্য দেয় ফেসবুক। একইসঙ্গে ৫০ শতাংশ জরুরি আবেদনেরও তথ্য দেওয়া হয়। সবমিলে গড়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৪৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সরকারকে তথ্য দেয় ফেসবুক।
সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চেয়ে আবেদন করার তুলনামূলক চিত্রে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে আছে বলে জানায় ফেসবুক। ২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসে ফেসবুকে বিভিন্ন দেশের সরকার তথ্য চেয়ে মোট এক লাখ ৪০ হাজার ৮৭৫টি আবেদন করে। ২০১৮ সালের একই সময়ের তুলনায় এই আবেদনের সংখ্যা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। সেবার মোট আবেদনের সংখ্যা ছিল এক লাখ ২৮ হাজার ৬১৭টি।
এ বছরের শেষভাগের মোট আবেদনের তুলনায় ফেসবুকের কাছে একা যুক্তরাষ্ট্র সরকারেরই আবেদন ছিল ৫১ হাজার ১২১টি। এক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচের বাকি চার সদস্য রাষ্ট্র হলো: যথাক্রমে ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্স।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুকের কাছে যাওয়া আবেদনের সামগ্রিক চিত্রও তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৩ সালের প্রথম অর্ধভাগে ফেসবুকের কাছে প্রথম তথ্য চেয়ে একটি আবেদন করে বাংলাদেশ সরকার। একই বছরের পরের অর্ধভাগে আর কোনো আবেদন করা না হলেও ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রতি অর্ধভাগেই ফেসবুকের কাছে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ।
তবে ২০১৫ সালের প্রথম অর্ধভাগ পর্যন্ত বাংলাদেশকে কোনো রকম তথ্য দেয়নি ফেসবুক। সে বছরের দ্বিতীয় ভাগে প্রথম বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া শুরু করে সামাজিক মাধ্যমটি। সেবার মোট আবেদনের প্রায় ১৬ শতাংশ তথ্য বাংলাদেশকে দেয় ফেসবুক।
একইসঙ্গে ২০১৯ সালের শেষ ভাগে ১৬টি আবেদনের মাধ্যমে ১৬টি আইডি সম্পর্কিত তথ্যাদি ‘সংরক্ষণ’ করে রাখার জন্য ফেসবুকের কাছে আবেদন করে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের শেষ ছয় মাসে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়া বিভিন্ন কনটেন্টের মধ্যে আত্মঘাত অথবা আত্মহত্যামূলক হতে পারে এমন ৪০ শতাংশ কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ফেসবুক। একইসঙ্গে কোনো ব্যবহারকারী অভিযোগ করার আগেই ৮৯ শতাংশ অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্ট ফেসবুক চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২০
এসএইচএস/টিএ