ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসার কারণে সাগর প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (১৮ মে) অনলাইন ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, সম্মানিত প্রিয় দেশবাসী।
ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী সব জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আমার কথা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের আশ্রয় নেওয়ার বিষয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন>>>দিক পাল্টাচ্ছে আম্পান, আছড়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। গর্ভবর্তী নারী, নারী, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে। এরপর অন্যরা। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরতদের জন্য খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা আমরা করেছি।
‘পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা ২১ লাখের মতো মানুষকে রাখার পাশাপাশি এলাকার সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ঘূর্ণি দুর্গত মানুষদের আমরা নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করে রাখতে পারবো ইনশাল্লাহ। ’
প্রতিমন্ত্রী জানান, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি