রোববার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণসহ দেশ ও বিশ্ববাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথায় আছে ‘বিপদ কখনও একা আসে না’। করোনা ভাইরাসের এই মহামারির মধ্যে গত বুধবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আঘাত হানে।
সরকারের আগাম প্রস্তুতির কারণে আম্পানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং আমাদের আগাম প্রস্তুতির কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সেজন্য বিভিন্ন দ্বীপ, চরাঞ্চল ও সমুদ্র-উপকূলে বসবাসকারী ২৪ লাখেরও বেশি মানুষকে এবং প্রায় ৬ লাখ গবাদিপশু আমরা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করি।
‘সর্বাত্মক প্রস্তুতি সত্ত্বেও গাছ ও দেওয়াল চাপায় বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন এবং বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আমরা ইতোমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি এবং ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আমি বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।
আরও পড়ুন
** ঘরে বসেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন: প্রধানমন্ত্রী
** যতদিন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততদিন সরকারি সহায়তা
** কৃষক ও ছাত্রলীগকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
** জীবন-জীবিকার স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২০
এসকে/এএ