বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতে লকডাউন ঘোষণার আগে (২০ মার্চ) ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত শিল্প কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আসেন এ সব ট্রাকচালকরা। পরে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর থেকে ট্রাক ও চালকদের নিজ দেশে ফেরত নেয়নি ভারত সরকার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বাংলাদেশি আমদানিকারক ও স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাস দুর্যোগে ভারতীয় ট্রাকচালকদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে না নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা এখনো কোনো ফলস্বরুপ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় ট্রাকচালকরা জানান, আমরা বাংলাদেশে আমদানি পণ্য নিয়ে এসে আটকে পড়েছি। ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না। খেয়ে না খেয়েই জীবন চলছে এবং গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে আমাদের। আমরা আমাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের কাছে যা টাকা পয়সা ছিল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
তারা আরো জানান, বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লোকজন মাঝেমধ্যে কিছু খাদ্য সহয়তা করে সেগুলো দিয়েই চলছে । আর যত দ্রুত সম্ভব তাদের যেনো নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ট্রাক ও চালকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছি। অনুমতি পেলেই ভারতীয় ট্রাকসহ চালকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ট্রাক ও চালকদের বেনাপোল স্থলবন্দরের ট্রাক টার্মিনালের ভেতরেই রাখা হয়েছে। বন্দর, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা চালকদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অনুমতি পেলে যেকোনো মুহূর্তে ভারতীয় ট্রাকসহ চালকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে তিনি জনান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এএটি