তিনি বলেন, পাট আমাদের অর্থকরী ফসল, এর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন জড়িত। আমরা শ্রমিকের অবজ্ঞা চাই না, তাদের পুনর্বাসন চাই।
শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে শ্রমিকদের ‘শতভাগ’ পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলসমূহের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বছরের পর বছর লোকসান গুণতে হতো পাটকলে। এসব কলের ৬০ বছরের পুরনো মেশিন দিয়ে উৎপাদন হতো না। পাট শিল্পের আধুনিকায়নে আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী পাট শিল্পের উন্নয়নে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে টেক্সটাইল লোকসানে ছিল, পিপিপির আওতায় দেওয়ার পর সেগুলো লাভে আছে। পাটকলগুলোও পিপিপি করা হচ্ছে সেই আলোকে।
তিনি বলেন, আমরা পিপিপি করছি মানে মালিকানা চলে যাবে না। এখানে অংশীদারিত্ব থাকবে, বাইরের কোন মালিকানা থাকবে না। আমরা ৬০ বছরের পুরনো মেশিনের স্থলে নতুন মেশিন বসাতে চাই, যার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়বে। সেখানে আমাদের পুরনো শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন, যারা কাজ করতে চান।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাজেট থেকে বরাদ্দ শুরু হলেই শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সময়ে অর্থ দেওয়া যায়। শ্রমিকদের দুই ধাপে টাকা দেওয়া হবে। অর্ধেক দেওয়া হবে ক্যাশে, বাকি অর্ধেক দেওয়া হবে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে। পাশাপাশি শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জুন মাসের মজুরি আগামী সপ্তাহে দেওয়া হবে। নোটিশ মেয়াদ অর্থাৎ জুলাই-আগস্ট মাসের ৬০ দিনের মজুরিও উভয় মাসে যথারীতি পরিশোধ করা হবে। সব ক্ষেত্রে মজুরি কমিশন, ২০১৫-এর ভিত্তিতে পাওনা হিসাব করা হবে। পিএফ, গ্রাচ্যুইটি ও গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধাসহ অবশিষ্ট সকল পাওনার ৫০ শতাংশ স্ব স্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং বাকি ৫০ শতাংশ স্ব স্ব সঞ্চয়পত্র আকারে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
পাটকল শ্রমিকরা ঠকবেন না, ২ ধাপে পাবেন সব টাকা
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
ইএআর/এমজেএফ