সোমবার (৬ জুলাই) সকালে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। দোষীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাকিব হাসান তরফদার জানান, টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ আসামিদের মধ্যে একজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে।
অন্যদিকে, চিকিৎসকরা বলছেন, মূল আসামি কাজী তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা না হলে তারা তাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. হুমায়ন কবির বলেছেন, ডা. অপূর্বকে লাঞ্ছিত করার মামলার মূল আসামি তরিকুলকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে গ্রেফতার করতে না পারলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এম মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় কর্মরত চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, তার সঙ্গে আমরা একাত্মতা ঘোষণা করেছি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে মূল আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার না করতে না পারলে বিএমএ থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে এক রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার আধাঘণ্টা পর মারা যান। তাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হয়েছে- এমন দাবি করে দায়িত্বরত চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন কাজী তরিকুলসহ রোগীর বেশ কয়েকজন স্বজন। এ ঘটনার জের ধরে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে শনিবারই টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে চিকিৎসকরা ধর্মঘটে যাবেন বলে আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় তারা আউটডোর চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখেছেন। তবে ইনডোর ও করোনা রোগীরা তাদের এ কর্মবিরতির আওতামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এসআই