এছাড়া হাওরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় এখন জেলা শহরের সঙ্গে বিশ্বম্ভপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এ জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানাচ্ছে, গেলো কয়েকদিনের ভারতের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করে সুরমার পানি।
মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার রাতে তা ছিল ২৭ সেন্টিমিটার। তবে সুরমা নদীর পানি কমলেও হাওরের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া বানভাসি মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজনে সব উপজেলায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করি, বৃষ্টিপাত না হলে বুধবারের (১৫ জুলাই) মধ্যে পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে, এছাড়া হাওরে বন্যার পানি নামতে একটু সময় লাগতে পারে। সবমিলিয়ে আমাদের কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ বলেন, বন্যার্তদের সহায়তায় প্রশাসনের সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা বন্যার্তদের ইতোমধ্যে শুকনো খাবার, জিআর চাল, নগদ টাকা বিতরণ করেছি। এছাড়া আমাদের কন্ট্রোলরুম খোলা রয়েছে যেকোনো প্রয়োজনে সেখানে আমাদের জানালে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এএটি