সিলেট: বোমা সদৃশ ডিভাইস রাখা মোটরসাইকেলটি একজন পুলিশ সার্জনের। চয়ন নান্দু নামে পুলিশের ওই কর্মকর্তা নগরের চৌহাট্টা ট্রাফিক বক্স সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেল রেখে সানগ্লাস কিনতে একটি দোকানে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, বস্তুটি বোমা কিনা, পরীক্ষার জন্য পুলিশ, সিআরটি টিম ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৯) বোম্ব ডিসপোজাল টিম কাজ করবে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যা ৭টা থেকে আমরা পুরো এরিয়া ব্লক করে দিয়েছি। কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই কাজ করতে চাচ্ছি। তবে এটা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর কিছু নাই।
রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা যায়নি। বস্তুটি উদ্ধারের বিষেয়ে উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধারের বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে চিঠি লিখেছি। উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে রাতে ঢাকা থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ টিম রওয়ানা হয়েছে। তারা পৌঁছার পর পরই ‘বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।
এদিকে নগর এলাকায় ১০১টি সিসি ক্যামেরা সংগ্রহ করে তা পর্যবেক্ষণ করবেন।
বুধবার (৫ আস্ট) সন্ধ্যায় চৌহাট্টা এলাকার সিংহবাড়ির পাশে (পূর্বের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে) দাঁড় করিয়ে রাখা আধুনিক মডেলের একটি মোটরসাইকেলে সন্দেহজনক ডিভাইস লাগানো দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ডিভাইস দেখে তাদেরও সন্দেহ হয়।
পরে মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে জায়গাটিকে ফিতা টেনে ঘিরে রাখেন। ওই সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২০
এনইউ/ইএআর/আরএ