ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্মার্ট লাইসেন্স সিস্টেমের আওতায় এলো রাজশাহী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
স্মার্ট লাইসেন্স সিস্টেমের আওতায় এলো রাজশাহী ফায়ার আর্মস (আগ্নেয়াস্ত্র) ও ডিলিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড বিতরণ

রাজশাহী: স্মার্ট লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় এলো রাজশাহী। প্রথমবারের মতো রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ফায়ার আর্মস (আগ্নেয়াস্ত্র) ও ডিলিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

অনুষ্ঠানে জেলার ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ১০টি ফায়ার আর্মসের স্মার্ট কার্ড ও ১০টি ডিলিং লাইসেন্সের (ব্যবসায়ীদের জন্য) স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়।

আগ্নেয়াস্ত্রসহ সব প্রকার ডিলিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন, অনলাইনে ফি জমা দেওয়া এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্মার্ট কার্ড দেওয়ার ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএমএস) প্লাটফর্ম হলো স্মার্ট লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সেবাপ্রার্থীরা ঘরে বসেই পোর্টাল ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে লাইসেন্সের আবেদন, ফি জমা দেওয়া, তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। নকল প্রতিরোধে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সটিতে ১৮ ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে।

লাইসেন্সের বিভিন্ন তথ্য তাৎক্ষণিক যাচাইয়ের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ ও একটি বিশেষায়িত ডিভাইস ব্যবহার করা হবে, যার মাধ্যমে লাইসেন্স গ্রহীতার এনআইডি নম্বর, লাইসেন্স নম্বর, আঙুলের ছাপসহ সাত ধরনের তথ্য ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক যাচাই করা যাবে। কোনো লাইসেন্সধারীর স্মার্ট কার্ডের বিষয়ে সন্দেহ হলে শুধু তার আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের মাধ্যমে লাইসেন্স যাচাই করা যাবে।

অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর খন্দোকার বলেন, স্মার্ট লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রমটি বর্তমান সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে একটি মাইলফলক। কাগুজে লাইসেন্সের পরিবর্তে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটিসহ অন্য বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত স্মার্ট কার্ড নাগরিক সেবা বাড়াবে।

তিনি বলেন, ‘আধুনিক স্মার্ট সলিউশন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সব প্রকার লাইসেন্সের তথ্য এক ঠিকানাতেই পাওয়া যাবে। ফলে ভুয়া লাইসেন্সের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। অপরাধ দমন, রাষ্ট্রীয় জননিরাপত্তা বিধান, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ’

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হলে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি কমবে এবং সময় কম লাগবে। ’

অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এসএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।