ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পেট কেটে বের করা হলো দেড় হাজার পিস ইয়াবা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
পেট কেটে বের করা হলো দেড় হাজার পিস ইয়াবা ছবি: প্রতীকী

রাজশাহী: কক্সবাজার থেকে রাজশাহীতে অভিনব কায়দায় পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় ধরা পড়েন আবদুস শুকুর (৩৭) নামে এক মাদকবিক্রেতা। পরে তার পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে তার পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বের করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৫০টি করে এক হাজার ৫৫০টি ইয়াবা ছিল।

শুকুর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়ার মোক্তার আহমেদের ছেলে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ জানায়, রাজশাহীতে ওই মাদকবিক্রেতার পেট কেটে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বের করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৫০টি করে ইয়াবা ছিল। কক্সবাজার থেকে পাকস্থলীতে ইয়াবা বহন করে আনার সময় তিনি প্রথমে পাবনায় ধরা পড়েন। পরে তার পেট থেকে ইয়াবা বের করার জন্য গত রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। রাতে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পরে সোমবার দুপুরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার পাকস্থলী থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বের করে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে আরও তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে আটক করে গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার পেটের মধ্যে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা রয়েছে বলে জানায় শুকুর।  

পরে তার পেটে অস্ত্রোপচার করে ইয়াবাগুলো বের করার জন্য তাকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে গত রোববার দিনগত রাতে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচারের সময় তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে রাতেই তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, রোববার দিনগত রাতে পাবনা থেকে আনার পর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা তার পেট থেকে ৩১ প্যাকেট ইয়াবা বের করেছেন। প্রতিটি প্যাকেটের মধ্যে ৫০টি করে ইয়াবা ছিল। সর্বমোট ইয়াবার পরিমাণ এক হাজার ৫৫০টি। এগুলো এখন আলামত হিসেবে পাবনা থানায় পাঠানো হবে।

সোমবার দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মালেকের উপস্থিতিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। বিকেলে মরদেহ পাবনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে পাবনা থানা পুলিশের মাধ্যমে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানান ওসি শাহাদাত হোসেন খান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।