রাজশাহী: বাকিতে পান-সিগারেট না পেয়েই রাজশাহীতে আদর (৩৮) নামের এক দোকানিকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ের পাশে মহানগরীর ভেড়িপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আদর ওই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল হান্নান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মহানগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলো- কেশবপুর এলাকার বাবর আলীর ছেলে বাপ্পা রাজ (২৮) ও একই এলাকার মৃত আতাহার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম দর্পণ (৪৫)।
পুলিশ বলছে, মধ্যরাতে দোকানি আদরের কাছে বাকিতে পান-সিগারেট চেয়েছিলেন এলাকার কয়েকজন লোক। কিন্তু তাতে রাজি হননি আদর। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দোকানিকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেন। কিন্তু জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।
এদিকে, ছুরিকাঘাতে নিহত দোকানি আদরের মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থেকে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ নিয়ে মহানগরীর ভেরিপাড়ার মোড়ে যাওয়া হয়। এরপর রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
এসময় নিহতের স্বজনরা এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা এও অভিযোগ করেন যে, ঘটনার পর মামলা হলেও পুলিশ প্রকৃত আসামিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদি হাসান বাংলানিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এনিয়ে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ কোনোভাবেই প্রকৃত আসামিদের আড়াল করতে চাইছে না। বরং দোষীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এসএস/এমএইচএম