রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত বেবি খাতুন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খামার গ্রামের মৃত রহিমুদ্দিনের কন্যা। তার স্বামী আব্দুল জলিল গোবিন্দ পাড়া ইউনিয়নের খাজুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে ৮৫ হাজার টাকা দেনমোহরে বেবি খাতুন ও আব্দুল জলিলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বেবি খাতুনের ভাই আনোয়ার ৬০ হাজার টাকা যৌতুক দেন।
বিয়ের পর জলিল আরও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে বেবি খাতুনকে মারধরের শিকার হতে হয়। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ভাইয়ের বাড়িতে চলে গেলে জমি বিক্রি করে দুই দফা আরও ৩০ হাজার টাকার যৌতুক দেওয়া হয়।
নিহত বেবি খাতুনের ভাই আনোয়ারের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তার বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করা হতো। শনিবার (৩ অক্টোবর) রাতভর তার বোনকে নির্যাতন করে সকালে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন আব্দুল জলিল ও তার ভাই ডালিম। পরে এলাকায় ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন তারা।
জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০২০
এসএস/এমজেএফ