নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের প্রতিনিধি আল মাহমুদ ফজলুল কবির বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ও ভয়ে ঘটনার মূলহোতা দেলোয়ারের নাম প্রকাশ করেননি নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এতথ্য নিশ্চিত করে।
মানবাধিকার কমিশনের ওই কর্মকর্তা জানান, দেলোয়ার তাকে ইতোপূর্বে আরো কয়েকবার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনা যদি প্রকাশ করেন তাদের কাছে থাকা আরো ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেবেন।
প্রসঙ্গত, রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবারকে কিছু দিন অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তার পুরো পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলে পুরো ঘটনা দীর্ঘদিন স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে। পরে ঘটনার জানাজানি হলে পুলিশ ও র্যাব কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত ছয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
আরএ