রাজশাহী: ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন হিসেবে যেসব মাদক আসে তা বছরে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ, ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার মাদক আসতো কক্সবাজার হয়ে।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর আলোচনায় আসা কক্সবাজার জেলা পুলিশের সাবেক এসপি কয়েকদিন আগে রাজশাহীতে যোগ দেন।
যোগদান উপলক্ষে বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী জেলা পুলিশের সদ্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ হোসেন এসব কথা বলেন।
তবে সাংবাদিকরা সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান। এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, এটি একচুয়ালি কক্সবাজারের ঘটনা। এটা রাজশাহীর ঘটনা নয়। আর এ বিষয়ে একটা মামলা তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় এটা নিয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেহেতু এটা তদন্তাধীন আছে, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
সভায় এসপি বলেন, আমাদের যেকোন কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সঙ্গে। আমরা রাজশাহীর আট থানার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই। আমরা দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই। সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী। কোন দল, কোন মত আমরা তা চিনি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরোটলারেন্স’ নীতি আছে। সেটার পরিবর্তন হয়নি। আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর একটা সমস্যা আছে। এতদিন দূর থেকে জেনে এসেছি যে, এখানে একসময় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল। সেটা যদিও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। এরা যে কোন সময় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এখানে যে সর্বহারা নামে যে একটা গ্রুপ ছিল তাদেরও প্রভাব অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যেকোনো সন্ত্রাসী ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে একদম কঠোর।
মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে, ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০
এসএস/এএটি