সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মেয়েকে নির্যাতন, ধর্ষণ ও অপহরণ এবং এর প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) বিকেলে পাঁচ আসামিকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জগন্নাথপুর) শুভদীপ পালের আদালতে হাজির করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
পাঁচ আসামি হলেন শামীম আহমেদ, লিটন মিয়া, আকাই মিয়া, ইলিয়াছ মিয়া ও আলম মিয়া।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, দুই বছর আগে স্বামী ছেড়ে যাওয়ায় ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে উঠেছিলেন ওই নারী (২৭)। কিন্তু উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গুতগাঁও গ্রামের শামীম আহমদ তাকে উত্ত্যক্ত করায় তিনি ছেলে আর বাবাকে নিয়ে শহরের একটি বাসায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন। সেখানেই এক বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি। বাসা ভাড়া নিয়েও স্বস্তি মেলেনি তার। প্রায়ই ওই তাকে ওই বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেন শামীম। ওই নারী যে বাসায় কাজ করেন, সে বাড়ির কাছ থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই নারীকে অপহরণ করে নিয়ে যান শামীম। এরপর তাকে তিনি ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী শামীমের হাত থেকে রক্ষা পেতে গোপনে আরেক বাসায় কাজ নিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এরপর ওই নারীর খোঁজ না পেয়ে গত সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে ভাড়া বাসায় গিয়ে বাবার (৬৫) কাছে মেয়েটির সন্ধান চান শামীম ও তার লোকজন। এ সময় মেয়েকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করে উল্টো শামীমের কাছে মেয়ের খোঁজ জানতে চাওয়ায় শামীম ক্ষিপ্ত হন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই বৃদ্ধকে শামীম ও তার লোকজন শামীমের বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
এদিকে, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) সকালে ওই নারীকে উদ্ধার করে। পরে রাতে তিনি মামলা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকেই গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২০
এসআই