ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: আরও ২ আসামির দোষ স্বীকার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২০
বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: আরও ২ আসামির দোষ স্বীকার  সোহাগ ও রাসেল (মাঝে), ছবি: বাংলানিউজ

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলায় সোহাগ ও রাসেল নামে আরও দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে তিনদিনের রিমান্ড শেষে সোহাগ ও রাসেলকে জেলা জজ আদালতের দুই নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়।

এসময় তারা স্বেচ্ছায়  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চান।

পরে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও তদন্তে এ দু’জনের নাম উঠে আসায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গুলজার আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার আসামি আবদুর রহিম এবং একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা দু’টি মামলা শুক্রবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার থেকে পিবিআই মামলার বিষয়গুলো দেখবে।  

নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেন। দুই মামলার এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত/আটজনকে আসামি করা হয়। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ছয়জন এবং তদন্তে উঠে আসা পাঁচজন রয়েছেন।
রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি ছিল ৩২ দিন আগের। নির্যাতনের পর স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে কিছু দিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেন তারা। পরে ভিডিও প্রকাশ পেলে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর রোববার রাতে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করার পর রাত ১টার দিকে তিনি দেলোয়ার বাদে তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে  মামলা দু’টি করেন।  তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় যে এ ঘটনার মূল হোতা আসলে দেলোয়ার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এসআই

 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।