ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সৌদি-কাতার থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
সৌদি-কাতার থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

ঢাকা: সৌদি আরব ও কাতার থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ১৭৯ কোটি ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ২৪৯ টাকা।

চলতি অর্থবছরে জন্য রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় এ পরিমাণ সার কিনতে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ব্রিফিংয়ে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে সার ক্রয়ের প্রস্তাব করে।

চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে নবম লটে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আনা হবে। এর ক্রয় মূল্য ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৮৭ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ২৬২ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।

একইভাবে নবম লটের ২৫ হাজার ইউরিয়া সার কাতারের মুনতাজাত থেকে আমদানির প্রস্তাব দেওয়া হয়। যার ক্রয়মূল্য ৫৫ কোটি ৮০ লাখ ১৫ হাজার ৩১২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ২৬২ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।

এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি বেসিক ইন্ড্রাস্টিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে ১১তম লটে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার ৫৬ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৬৭ মার্কিন ডলার।

মুস্তফা কামাল জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জন্য ৭৫ কোটি টাকার ঢেউটিন সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এ টিনের দাম, কার থেকে কেনা হলো তা ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে এলে বিস্তারিত জানানো হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১১ কেভি ওভারহেড ইনসুলেটেড কনডাক্টর ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিআরবি ক্যাবল ইন্ড্রাস্টিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ২৬ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মুস্তফা কামাল আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পের আওতায় ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতা সম্পন্ন ৪০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম ও ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ৫০০ সোলার কমিউনিটি সিস্টেম ক্রয়ের প্রস্তাব আনা হয়। এটার বিষয় কিছু কোয়ারি দিয়ে আবার আনতে বলা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন 'টিএ (টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স) ফর বাংলাদেশ পাওয়ার সেক্টর ডেভেলমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ প্রকল্পের আওতায় নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (এনইএসসিও) এলাকায় জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমেরিকার এনআরসিএ ইন্টারন্যাশনালকে ৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮০৮ টাকায় নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।