ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহী কারাগারের সেই প্রধান রাইটার প্রত্যাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
রাজশাহী কারাগারের সেই প্রধান রাইটার প্রত্যাহার

রাজশাহী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান রাইটারের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

 বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজশাহী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. তারেক কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

জেলার মো. তারেক কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমি সম্প্রতি রাজশাহী জেলা কারাগারের দায়িত্ব নিয়েছি। আগে থেকেই আনোয়ার হোসেন কারাগারের প্রধান রাইটারের দায়িত্বে ছিলেন। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তাকে প্রধান রাইটারের পদ থেকে সরিয়ে কারাগারের উৎপাদন শাখায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার খুলনা থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ট্রেন মার্চ কর্মসূচি ছিল। শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার বগি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। ওইদিন রাতে ঈশ্বরদী জিআরপি থানার ওসি নজরুল ইসলাম শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রোস্তুম আলী ২০১৯ সালের ৩ জুলাই স্পর্শকাতর এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ৫২ আসামির মধ্যে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন।  

আনোয়ার হোসেন জনির এই মামলায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়। রায় ঘোষণার কয়েকদিন পরেই জনিসহ দণ্ডপ্রাপ্তদের পাবনা জেলা কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরে তাকে নিয়োগ করা হয় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান রাইটার। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।