ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে যুবকের চোখ উৎপাটনকারীদের শাস্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
বরিশালে যুবকের চোখ উৎপাটনকারীদের শাস্তির দাবি

বরিশাল: বরিশাল নগরের খাটখোলা কসাই খানা এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবকের চোখ উৎপাটনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরের আগরপুর রোডের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী যুবক সোহাগ খানের বোন মুক্তা আক্তার।

গত ৪ ডিসেম্বর নগরের খাটখোলা কসাই খানা এলাকার বিশ্বাসের হোটেলের সামনে জমিজমা বিরোধের জেরে হামলার শিকার হন মো. সোহাগ খান। তিনি নগরের মোহাম্মদপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সেকান্দার আলী খানের ছেলে।

ঘটনার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন চাবি দিয়ে সোহাগের চোখে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। ঢাকায় নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছে সোহাগ আর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন না।

লিখিত বক্তব্যে মুক্তার আক্তার বলেন, নগরের হাটখোলা হকার্স মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মোবারক সিকদার ও তার চার ছেলের সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধ চলে আসছিলো। হাটখোলা হকার্স মার্কেটের পাশে চর বদনা মৌজায় ভূমিহীন হিসেবে সরকারিভাবে আমরা তিন শতাংশ জমি বিগত ৩০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। প্রায় ৭ বছর আগে জাল দলিলের মাধ্যমে ওই জমি নিজেদের দাবি করে মোকারক সিকদার ও তার ছেলেরা। এমনকি ওই জমি থেকে আমাদের উচ্ছেদে পায়তারা করে আসছে তারা।

ঘটনার দিন সোহাগ খান নাস্তার করার জন্য কসাই খানা বিশ্বাসের হোটেলে যায়। সেখানে মোবারক সিকদারের ছেলে নাজমুলের নির্দেশে অপর তিন ভাই আল-আমিন, সাইফুল ও রাব্বি হামলা চালায়। এসময় আল-আমিন তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে চোখে আঘাত করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। এর পর আবার পুলিশকে খবর দিয়ে সোহাগকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, চোখ উৎপাটন ও হামলার ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বড়ভাই মাসম খান বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মো. আল আমিন, মো. সাইফুল, মো. নাজমুল, মো. রাব্বিকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাদের মধ্যে পুলিশ নাজমুল ও রাব্বিকে আটক করলেও তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুনরায় হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মামলার অপর দুই আসামি আল-আমিন, সাইফুলকে এখন আটক করতে পারেনি পুালিশ।

ভুক্তভোগী সোহাগ খান বলেন, আমার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। আর কয়েকদিন পর আমি প্রথম সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছি। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার আগেই সন্ত্রাসীরা আমার চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে। যারা আমার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী সোহাগের মা মাসুদা বেগম, স্ত্রী ইয়াসমিন, শ্বশুর বাবলু, বড় ভাই মো. মাসুম খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।