যশোর: চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই জনকে জাল নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসের ক্যাশিয়ারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুইটি মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন মামলা দু’টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এলাকার আব্দুর রহমান এবং সদর উপজেলার কামারগন্না গ্রামের অহিদুজ্জামান মামলা দুইটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন রাজধানী ঢাকার লেক সার্কাস রোড কলাবাগান এলাকার গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট) লিমিটেডের ক্যাশিয়ার ইমরান হোসেন মামুন, ফরিদপুরের খোরদো খালেক বাজার এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সংস্থার মাঠকর্মী সাহেদ হোসেন সাঈদ এবং ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হালিধানী গ্রামের বাসিন্দা সংস্থার মাঠকর্মী শমসের আলী।
অহিদুজ্জামান তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাইভেট) লিমিটেড আউট সোসিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন দফতরে জনবল সরবরাহে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। এই কারণে তিনি যশোর সিভিল সার্জন অফিসে এটেনডেন্ট চাকরি পাওয়ার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেন। উল্লেখিত আসামিরা তাকে চাকরির মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অহিদুজ্জামানের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা গ্রহণ করে। এরপর একই বছরের ১৯ জানুয়রি তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তাকে একটি সাময়িক নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। পরে তিনি ওই নিয়োগপত্র নিয়ে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করতে যান। এসময় সিভিল সার্জন অফিস থেকে তাকে বলা হয়, নিয়োগ পত্রটি জাল।
এরপর তিনি আসামিদের বিষয়টি জানালে তারা বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়ে এক মাসের মধ্যে সঠিক নিয়োগপত্র প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এক মাস পার হলেও তারা তাকে সঠিক নিয়োগপত্র দেননি, তার কাছ থেকে নেওয়া টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। তারা তাকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন।
মামলায় আরও বলা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি খবর পান আসামিরা যশোরের উপশহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছেন। এই খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে টাকা দাবি করলে তারা দিতে অস্বীকার করেন।
অপরদিকে আব্দুর রহমান সাগরের অভিযোগ, আসামিরা তাকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে অফিস এটেনডেন্ট পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি দেড় লাখ টাকা নেন। এরপর একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিষ্ঠানের প্যাডে তাকে একটি সাময়িক নিয়োগপত্র দিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে যোগদান করতে বলেন।
তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের যশোর অফিসে যোগদান করতে গেলে সেখান থেকে তাকে জানানো হয় নিয়োগ পত্রটি জাল। এরপর তিনি আসামিদের বিষয়টি জানালে তারা বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানিয়ে এক মাসের মধ্যে সঠিক নিয়োগপত্র প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এক মাস পার হলেও তারা তাকে সঠিক নিয়োগপত্র দেননি, তার কাছ থেকে নেওয়া টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। তারা তাকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। ফলে কোনো উপায় না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
ইউজি/এইচএমএস