ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন সাফদারপুরবাসী

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন সাফদারপুরবাসী

পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের আওতাধীন রাজশাহী-ঈশ্বরদী-খুলনা রেলরুটের সাফদারপুরবাসী আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।  

আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ৭১৫ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপেজের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হবে।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকতা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী  ৭১৫ (আপ) নম্বর আন্তঃনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা-ঈশ্বরদী রেলরুটের সাফদারপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছাবে সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে। ট্রেনটি ৮টা ২০ মিনিটে পুনরায় রাজশাহী অভিমুখে যাত্রা করবে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী ৭১৬ নম্বর (ডাউন) কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে পুনরায় পৌঁছে ৫টা ৪৪ মিনিটে খুলনা অভিমুখে ছেড়ে যাবে।  

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশি পরিবহন কর্মকতা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশের সব এলাকার মানুষ ট্রেনে চড়ার সুযোগ পাবে পর্যায়ক্রমে। সে অনুযায়ীই কাজ শুরু হয়েছে। খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত রেলপথ প্রশারিত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে খুলনা-যশোর রুটে ডাবল লাইনের কাজ চলমান।   

ডিটিও আরও জানান, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপেক্ষিতে শনিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে আন্তঃনগর ৭১৫/৭১৬ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটি যাত্রা বিরতি দেবে বলে সাফদারপুরের সর্বস্তরের মানুষ সহজে ট্রেনে যাতায়াত করার সুযোগ পাচ্ছেন। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুরের মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসার বিভিন্ন কাজে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে যেতে পারবেন।  

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করার জন্য বৃটিশ সরকার ১৮৭৮ সালে চিলাহাটি-পার্বতীপুর-সান্তাহার-দর্শনা লাইন এবং কলকাতা থেকে খুলনার সঙ্গে যশোর হয়ে রেলপথ নির্মাণ করে। ১৯৪৭ এ দেশ ভাগ হয়ে যাবার পর দুই দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাজশাহী রংপুরের সঙ্গে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। তাই খুব দ্রুত সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার দ্রুত দর্শনা জংশন থেকে যশোর জংশন পর্যন্ত নতুন রেলপথ স্থাপন করে। ১৯৫১ সালে এসময় সাফদারপুর রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।