ঢাকা: ভারত ভ্যাকসিন তৈরি করলে তাদের উৎপাদন খরচ কম হবেই। তারা অবশ্যই লাভ ছাড়া ভ্যাকসিন বিক্রি করবে না।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) অনলাইনে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি দামে ভ্যাকসিন কিনছে সরকার এরফলে বাজেটে কী প্রভাব পড়বে জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, আমি এটা জানিনা, দাম বেশি হয়েছে কিনা। ভারত যদি তৈরি করে তাহলে তাদের উৎপাদন খরচতো কম হবেই। তারা যখন বিক্রি করবে অবশ্যই বিক্রির দাম তাদের খরচ ও লাভ দুইটাকে একত্র করে তারা এ কাজটি করবে।
তাদের যে খরচ হবে সেই দামে আমরা পাবো, তাদের দেশে যদি তৈরি করা হয় এটা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। তবে আমরা দেখবো যে আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যাকসিনের দাম কতো এবং আমরা কতো দামে পাচ্ছি, সেটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো। কারণ ভ্যাকসিন অনেক দেশ তৈরি করবে। এক দেশ থেকে যদি বেশি দাম বলে আমরা অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা অবশ্যই আমরা করবো, সেই সুযোগ আমাদের আছে।
আগামী বাজেটে ভ্যাকসিনের ওপর কতটা গুরুত্ব পাবে এবং জনস্বাস্থ্যের কোনো বিষয়কে বাজেটে গুরুত্ব দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ মূহুর্তে জাতির জন্য চাহিদা সেটা হচ্ছে সবাই অপেক্ষা করে আছে, আমরা কবে ভ্যাকসিনের কাজটা শুরু করবো এবং কবে ভ্যাকসিন সবাইকে দেওয়া শেষ করতে পারবো। ভ্যাকসিন আনা কঠিন কাজ নয়। ভ্যাকসিন দেওয়াটা কঠিন। সব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা খুব জটিল কাজ। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা এখানে সফল হবো। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করেন যে, দেশের সব মানুষ এমনকি যারা খরচ বহন করতে অপারগ, তাদের ভ্যাকসিনের খরচও তিনি দেবেন। আপনারা জানেন এটা একদিনে হবে না। দেশের ১৭ কোটি মানুষকে একদিনে এটি দেওয়া যাবে না। সেজন্য অবশ্যই কিছু ধাপ থাকবে। প্রথম ধাপে কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে, তৃতীয় ধাপে কারা পাবে এভাবে চিহ্নিত করে আপাতত আমরা ভ্যাকসিন দেবো। আমরা প্রত্যাশা করি, দেশের ১৭ কোটি মানুষকে আমরা ভ্যাকসিন পৌঁছে দিয়ে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/