পটুয়াখালী: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ভোট অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন শেষে এখন শুধু অপেক্ষা ভোটগ্রহণের।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা তাদের হলফনামাও দাখিল করছেন। যে হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর সম্পদে বর্তমান পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদারের গেলো পাঁচ বছরে কৃষিজমির পরিমাণ বেড়েছে ২ একর ৭১ শতাংশ। পাঁচ বছর আগের হলফনামায় কৃষিখাত থেকে তার বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ৬৫ হাজার ৫শ টাকা এবং এবারেও কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৬৫ হাজার ৫শ টাকা। অর্থাৎ, জমি বাড়লেও এ খাতে তার আয় বাড়েনি একটাকাও।
তবে কমেছে অকৃষি জমির পরিমাণ। পাঁচ বছর আগে যেখানে তার অকৃষি জমি ছিল ৪ একর ৩৪ শতাংশ সেখানে এবারের হলফনামায় দেখানো হয়েছে ৩ একর ৬৪ শতাংশ, অর্থাৎ অকৃষি জমির পরিমাণ কমেছে। যদিও এবার তিনি ৭শ বর্গফুটের একতলা নতুন একটি দালানের কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
ব্যবসায় পাঁচ বছর আগের চেয়ে তার আয় কমেছে, তবে আয়ের নতুন খাত হিসেবে মেয়র সম্মানীভাতার ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবারের হলফনামায় দেখিয়েছেন।
অস্থাবর সম্পদে নগদ টাকার পরিমাণ কমলেও এবার নতুন করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৩৫ লাখ ৮০ হাজার ৪৮৩ টাকা। আর স্বর্ণালংকার পূর্বের মতো থাকলেও ইলেকট্রনিক সামগ্রীর অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৭ গুণেরও বেশি। আসবাবপত্রের অর্থের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।
হলফনামার শেষে গতবারের চেয়ে এবারের ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৪ হাজার ৯০ টাকা বেশি দেখিয়েছেন। তবে হলফনামায় স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের স্থাবর, অস্থাবর কোনো সম্পদের বিবরণ দেননি।
এছাড়া এইচএসসি পাস এই প্রার্থীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএসটিআই আইন-২০১৮ এর আওতায় একটি মামলা রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, তিনি যে সম্পদের মালিক তার সবকিছুই হলফনামায় উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি যথা নিয়মে ট্যাক্সও দেন তিনি। পাশাপাশি স্ত্রীর নামে কোনো জমিও নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০
এমএস/এএ