ঢাকা: রাজধানীর হোটেল এরামের বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দার দায়ের করা ভ্যাট ফাঁকির মামলা প্রমাণ হওয়ায় ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) ভ্যাট ফাঁকির মামলার বিচার আদেশে এ জরিমানা করা হয়েছে বলে ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হোটেল এরামে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভ্যাট গোয়েন্দা ভ্যাট ফাঁকির আলামত পাওয়ায় হোটেলের কাগজপত্র জব্দ করে। একইসঙ্গে ৩৭৪ বোতল বিদেশি হুইস্কি ও তিন হাজার ৬৭২ ক্যান বিয়ারের কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এসব মদ জাতীয় পণ্যও জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি করোনাকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হোটেল-বার থেকে মদ জাতীয় পণ্য বিক্রয় করেছে। কিন্তু স্থানীয় ভ্যাট সার্কেলে মাসিক ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রয়ের হিসাব দাখিল করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল। প্রতিষ্ঠানটি মিরপুর রোডের এক নম্বর শুক্রাবাদে অবস্থিত। এর মূসক নিবন্ধন নম্বর ০০০১৬৬৬৭৬৫-০৪০২। এ হোটেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে মদ বিক্রির অনুমোদন আছে।
পরবর্তীতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর তদন্ত করে আট লাখ ৮৭ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে মামলা দায়ের করে ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ঢাকা পশ্চিম কমিশনারের কাছে প্রেরণ করে।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান মামলার কাগজপত্র বিশ্লেষণ ও বিবাদীর বক্তব্য আমলে নিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দার উদঘাটিত আট লাখ ৮৭ হাজার টাকার ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের আদেশ দেন ও একইসঙ্গে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত হিসেবে জরিমানা আরোপ করেন। একই আদেশে বৈধ কাগজ না থাকায় জব্দ করা মদ ও বিয়ার রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেন।
ইতোমধ্যে হোটেল এরাম কর্তৃপক্ষ ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ মেনে নিয়ে আট লাখ ৮৭ হাজার টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছেন। বাকি জরিমানার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে জমা দেবে মর্মে অঙ্গীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস