রংপুর: রংপুরের বদরগঞ্জে চতুর্থ সন্তানও ছেলে সন্তান হওয়ায় ৪৮ দিনের মাথায় নিজের ঘুমন্ত শিশুকে হত্যা করেছেন পাষণ্ড বাবা হামিদুর রহমান। ঘর থেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন তিনি।
এ বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (৮ মার্চ) বদরগঞ্জ উপজেলা গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আরাজী দিলালপুর বানিয়াপাড়া এলাকার ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জন্মের ৪৮ দিনের মাথায় গত রোববার (৭ মার্চ) রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় বাবা হামিদুর। পরে হত্যার পর বাড়ির পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি এলাকায় প্রচার চালান যে, জিন বা ভুতে তুলে নিয়ে তার সন্তানকে হত্যা করেছে। পরে সোমবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির পাশে ডোবা থেকে ৪৮ দিনের শিশু সুইম বাবুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মর্মান্তিক ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ বাবা ও মাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজ সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) রংপুরের বদরগঞ্জ আমলি আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় তিনি জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির দাদা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ছেলে হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে নাতিকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেয়ে সন্তানের আশায় পর পর চারটি ছেলের জন্ম হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল শিশুটির বাবা হামিদুর। আদালতে হামিদুর সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে আসলে শিশুটিকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা পরিষ্কার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
এএটি