ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আশুলিয়া ক্লাসিক বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ২

সাভার করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
আশুলিয়া ক্লাসিক বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ২ আটক বাসচালক ও তার সহযোগী

সাভার (ঢাকা): সাভারে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চাপায় শামছুল আলম নামে একটি পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় বাসটির চালক ও তার সহযোগিকে (হেলপার) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪ এর সদস্যরা।

রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল।

 

শনিবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের জামতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি ঘাতক বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়।

নিহত শামছুল আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার শারমিন গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা।

গ্রেফতাররা হলেন- আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক শেরপুরের মো. ওয়াসিম ওরফে আল-আমিন ও হেলপার নারায়ণগঞ্জের মো. শাকিল।

র‌্যাব-৪ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় নিজ কর্মস্থল শারমিন গ্রুপের সামনে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চাপায় নিহত হন শামছুল আলম। পরে প্রায় এক কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে ওই পরিবহনের চালক ও হেলপার গাড়ী রেখেই পালিয়ে যায়। সে সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও অন্তত ১৫-২০ যানবাহনে ভাঙচুর করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওইক্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আশ্বাস দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর উত্তেজিত জনতা আন্দোলন স্থগিত করে অবরোধ তুলে নেয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে শনিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের জামতলা এলাকা থেকে পলাতক বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে।

র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই আসামি ওই পোশাক কারখানার কর্মকর্তা শামছুল আলমকে বাসচাপা দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মূলত সামনে থাকা আরেকটি বাসকে ওভারটেকিং করতে গিয়েই তারা চাপা দেয়।  

তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে চালকের কোনো নিজস্ব ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই ও ঘটনার দিন তিনি বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত ছিলেন বলেও জানান। এছাড়াও ওই বাসের রুট পারমিট গত ৩১ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ গত ২৬ মার্চ ২০২০ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এছাড়াও গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখের পর বাসটির ট্যাক্স টোকেনসহ কোনো ধরনের আপডেট করা হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।