মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে দুই তরুণসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- উত্তর ইসলামপুর এলাকার মো. কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠান (২৩) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিব হোসেন (১৯) এবং আনোয়ার আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪০)।
এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মিন্টু।
এর আগে বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ইমন ও রাতে সাড়ে ১২টার পর ঢামেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাকিবের মৃত্যু হয়।
এদিকে, রাত দেড়টার দিকে মরদেহ নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করে অভিযুক্তদের ফাসির স্লোগান দেন।
বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইভটিজিং নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ মীমাংসা চলছিল মিন্টুর বাড়ির সামনে জামালের দোকান প্রাঙ্গণে। বৈঠকের একপর্যায়ে ইমন পাঠান ও অভি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ইমন, সাকিব ও মিন্টু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর অবস্থায় সাকিব ও মিন্টুকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে সাকিবের মৃত হয়। আর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টুর মৃত্যু হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, কী নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২১/আপডেট সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা
ওএইচ/এসআরএস