ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীবিরোধী বিক্ষোভের জেরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ঘটনার দিন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ১৩০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষের সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০-৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় কারো নাম বা রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেনি পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনায় মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের বাংলাদেশে আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ কতিপয় বিক্ষোভকারী বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ও মসজিদের ভেতরে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক-অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকে। তখন বায়তুল মোকাররমের ভেতরে দু’গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।
এক পর্যায়ে এক গ্রুপ মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হলে ভেতরে থাকা অন্য গ্রুপ তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে মসজিদের ভেতরে থাকা বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন প্রকার উসকানিমূলক ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে যান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তখন পুলিশ গুলি ছোড়ে।
গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বায়তুল মোকাররম এলাকা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ইসলামি দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
পিএম/আরবি