ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সড়কে যানজট নিরসনে কার্যকরী ইউলুপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
সড়কে যানজট নিরসনে কার্যকরী ইউলুপ

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা থেকে বনানী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ৫টি ইউলুপ চালু রয়েছে। এই সড়কে যানজট নিরসন ও প্রচণ্ড যানবাহনের চাপ কমাতে ইউলুপ নির্মাণ করা হয়েছে।

এদিকে রাস্তাগুলোও দু’পাশে প্রশস্ত করা হয়েছে।  
ক্ষেত্র বিশেষে সড়কের কিছু স্থানে ইউলুপের পাশে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। তবে সড়কে যানজট অনেকটা কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে ট্রাফিক সিগন্যালও।

সড়কের বনানী, কাওলা-বিমানবন্দর, জসিম উদ্দিন, আজমপুর, হাউস বিল্ডিং এলাকায় ইউলুপ চালু হওয়ার কারণে কোনো সিগন্যাল ছাড়াই খুব স্বাভাবিকভাবেই যানবাহনগুলো তাদের দিক পরিপর্তন করতে পারছে।

শনিবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত চালু হওয়া ৫টি ইউলুপের মধ্যে শুধুমাত্র হাউস বিল্ডিংয়ে থাকা ইউলুপটি এখনো নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। তবে জায়গা নির্ধারণ করে সেটি ইউলুপ হিসেবে ব্যবহার করছে পরিবহন চালকরা। এদিকে আজমপুর এলাকায় সড়কের মাঝখানে থাকা ইউলুপের দু’পাশের লেনে জায়গা খুব সরু থাকতে দেখা গেছে। এদিকে জসিম উদ্দিনে এপিবিএন এর মাঠের সামনে অবস্থিত ইউলুপে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। এই সড়কে হাউস বিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দু’টি ইউলুপ থাকায় ট্রাফিক সিগন্যাল কম ছিল।

তবে বাস চালকরা যাত্রী তোলা ও নামানোর বাহানায় সড়কের মাঝখানেই দাঁড়িয়ে থাকছে। এতে সড়কে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

এদিকে, বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কের কাউলা-বিমানবন্দরে থাকা ইউলুপটি বেশ পরিপাটি করে সাজানো গোছানো। ইউলুপের বর্ধিত অংশে ফুল গাছ, পাতাবাহার গাছ দিয়ে সাজানো হয়ে।  

এদিকে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থাকা ইউলুপ চালু হওয়ায় এই সড়কে যানজট অনেকটাই কমে এসেছে।  তবে এই সড়কে কয়েকটি সিগন্যাল থাকায় যানবাহনগুলোকে সামান্য যানজটে পড়তে হচ্ছে।

সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, সড়কে যানজট কমানোর বিষয়ে ইউলুপ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। সড়কে এসব ইউলুপ নির্মাণের কারণে ট্রাফিক সিগন্যালও অনেক কমে গেছে। যেসব স্থানে ইউলুপ রয়েছে সেসব স্থানে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের থাকতে হচ্ছে না। এতে ট্রাফিক বিভাগের কিছুটা কষ্ট কমেছে।

খিলক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকার চালক রুবেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ব্যাক্তিগত গাড়ি চালক হিসেবে রয়েছি দীর্ঘদিন ধরেই। আগে এই সড়কে যানজটের জন্য অনেক সময় নষ্ট হতো। কিন্তু এখন সড়কে অনেকগুলো ইউলুপ নির্মাণ করার কারণে যানজট অনেক কমে গেছে। এই সড়কে এখন বেশি সময় বসে থাকতে হয় না।

সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. কাশেম জানায়, সড়কে ইউটার্ন নিতে গেলে ইউলুপ দিয়ে গেলে কোনো যানজট পাওয়া যায় না। তবে ইউলুপ দিয়ে চলাচল করতে করতে গেলে কিছু বেশি সময় ও পথ যেতে হয়। তবুও যানজট না থাকায় এতে বিরক্তিকর কোনো বিষয় থাকে না।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২১
এসজেএ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।