ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নানা অজুহাতে সড়কে নগরবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
নানা অজুহাতে সড়কে নগরবাসী চলাচলকারীদের চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ সদস্যরা | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে মানুষজনের চলাচল বেড়েছে। মুভমেন্ট পাস ছাড়াই নানা অজুহাতে রাজপথে বের হচ্ছে নগরবাসী।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ২, ৬, ১০ ও ১৪ নম্বর, ভাষানটেক, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

সকাল থেকেই এসব এলাকায় কর্মজীবী মানুষের পাশাপাশি নানা অজুহাতে মানুষজনকে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে জীবিকার তাগিদে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

নিম্ন আয়ের লোকেরা জানিয়েছেন, শ্রম বিক্রি করতে না পারলে পরিবার নিয়ে তাদের না খেয়ে মরতে হবে। তাই তাদের ব্যাপারে সরকারের উচিত কিছুটা ছাড় দেওয়া।

এ ব্যাপারে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের চৌরঙ্গী মার্কেটের সামনে রিকশা চালক সাইফুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়ে একটা খ্যাপ মারছি। এখন পুলিশ রিকশার সিট খুলে নিছে। অনেক সময় অপেক্ষা করছি, জানি না কখন পাব। দিন শ্যাষে রিকশার জমার টাকাও উঠব না। পরিবাররে কী খাওয়াবো? সরকারের উচিত লকডাউনের মধ্যে আমাগো কিছুটা ছাড় দেওয়া।

সকাল থেকে ১০ নম্বির গোলচত্বরে ডিউটি করছেন মিরপুর থানার এসআই আনিস। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, লকডাউনে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেটি পালন করছি। মুভমেন্ট পাস ছাড়া আমরা কাউকে ছাড়ছি না। তবে চলাচলের ক্ষেত্রে মানুষজন নানা অজুহাত দিচ্ছে।

মুভমেন্ট পাস ছাড়াই শেওড়াপাড়া থেকে ১০ নম্বরে পার্সেল নিতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইন্টারনেট খুব একটা বুঝি না। তাই পাস নিতে পারিনি। আগামীতে পাস নিয়েই বের হবো।

কর্মদিবস হওয়ার সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। মুভমেন্ট পাস ছাড়াও কারণে অকারণে সড়কে বের হতে দেখা গেছে নগরবাসীকে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী লকডাউনে সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো নগরবাসীকে মানাতে সচেষ্ট রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনের এডিসি মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গতকালের চেয়ে যন্ত্রচালিত গাড়ির সংখ্যা বেশি হলেও আমরা সরকারের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছি।

তিনি বলেন, আমরা মুভমেন্ট পাস ছাড়া কাউকে অ্যালাও করছি না। কারণ ছাড়াও নানা অজুহাতে দেখিয়ে অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছেন। আমরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি, অনেককে জরিমানা করছি। যারা চলাচল করছেন আইনগত প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়েই চলছেন। মিরপুরে আমাদের চারটি মোবাইল টিম কাছ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ