সিলেট: এক সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাঁচজন যাত্রী। মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে চলছে পাওয়ার টিলার।
করোনা থেকে মানুষকে সুরক্ষায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সিলেটের পরিস্থিতি ছিল এমনই।
কঠোর লকডাউন থাকা স্বত্বেও অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়েছেন মানুষ। সড়কে চলাচল করেছে যানবাহন। বিশেষ করে হালকা যানে সয়লাভ ছিল সিলেট নগর। যেনো কেউই মানতে চাচ্ছেন না করোনা সুরক্ষার এ নির্দেশনা।
বিকেলে ইফতার সামগ্রি কিনতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত থাকছেই। মানুষের ঢল নামছে প্রতিটি পয়েন্টে, সবজি ও মাছ বাজারে। যেখানে শারীরিক দূরত্বের বালাই নেই, উল্টো স্বাস্থ্যবিধির বারোটা বাজছে।
লকডাউন মানাতে দিনভর পুলিশের চেষ্টা থাকলেও সব অন্তঃসার শূণ্য পড়ন্ত বিকেলে। প্রখর রোদে লোকজনের চলাচল এমনিতে কম থাকে। কিন্তু বিকেলে যেনো জনরোষ ঠেকানো দায় হয়ে যায়। রোজায় যখন কর্তব্যরত পুলিশও ক্লান্ত, তখন মানুষের ঢল নামে সড়কে, হাটবাজারে। যানবাহনও চলাচল করে অহরহ।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের লালদিঘীর পাড় এলাকা যেনো লোকে লোকারণ্য। একই দৃশ্য নগরের আম্বরখানা, রিকাবিবাজার, মিরাবাজার, সুবহানীঘাট, কালিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায়। আর ইফতারের দোকানগুলোতে জিলাপি কিনতে জনতা বেশি ভিড় করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া লকডাউনে যানবাহন বন্ধ থাকলেও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাঁচজন যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। নগরের প্রবেশদ্বার দক্ষিণ সুরমায় মহাসড়কে রয়েছে পাওয়ার টিলারও।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, লকডাউনে এসএমপির বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে দিনরাত ট্রাফিক বিভাগের ৬টি চেকপোস্ট এবং শহরের ভেতরে ১৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও সীমানার এলাকায় দিনরাত আরও ৮টি করে চেকপোস্ট, ১৪ টি মোবাইল পেট্রোল এবং গোয়েন্দা বিভাগের দিনরাত দু’টি করে চারটি মোবাইল পেট্রোল চালু রয়েছে। এসব ইউনিট লকডাউনের দুইদিনে ৯৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং ৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সিলেট মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ৯টি মামলায় ১৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। নগরীতে আরও নজরদারি বাড়িয়ে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এনইউ/ওএইচ/