ব্রাহ্মণবাড়িয়া: যৌতুকের টাকা না পেয়ে রোশেনা আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর হাত ভেঙে দিয়েছেন তার স্বামী শিমুল। এছাড়াও ওই গৃহবধূর মাথা, পেট ও বুকে কিল ঘুষির আঘাতে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (০৩ মে) সকালে সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে একই গ্রামের মলাই মিয়ার ছেলে শিমুলের সঙ্গে বিয়ে হয় মৃত সহিদ মিয়ার মেয়ে রোশেনা আক্তারের। বিয়ের পর কয়েক মাস তাদের সুখেই কাটে। এর পর তাদের ঘর আলো করে আসে এক কন্যা সন্তান। সাজানো সংসারে হঠাৎ করে নেমে আসে অশান্তির ছাপ। বিয়ের সময় যৌতুক দেওয়া হলেও পরে আবার যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন তার স্বামী শিমুল। টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে চলে তার ওপর শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন। প্রায় সময় তাকে মারধর করা হতো।
নির্যাতনের শিকার রোশেনা বলেন, আমার বাবার বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য আমার স্বামী প্রায় সময়ই চাপ দিতো। এর মধ্যে কয়েকবার কিছু টাকা এনেও দিয়েছি। কিন্তু তাতে সে সন্তুষ্ট নয়। যার জন্য আমাকে প্রায় সময় মারধর করতো। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিত।
রোশেনার ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, যৌতুকের জন্য আমার বোনকে মারধর করে একটি হাত ভেঙে দিয়েছে। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২১
আরএ