বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই। সোমবার (২৪ মে) ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাংলানিউজকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ।
বাংলা একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ.এইচ.এম লোকমান বলেন, আমরা গভীর শোক ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলা একাডেমির সম্মানিত মহাপরিচালক, কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২৪শে মে ২০২১ রাত ১১টায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল, শ্যামলী, ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন।
তিনি জানান, কবির মরদেহ আজ (২৫ মে) সকাল ১০টায় শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে (করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে) রাখা হবে। এখানে প্রথম জানাজার পর আজিমপুর কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সেখানে দাফন করা হবে তাকে।
কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরে তার জন্ম। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭০ সালে স্নাতক পাস করেন।
আশির দশকে জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। কবিতার জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), মহাদিগন্ত পুরস্কারসহ (২০১১) বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
পদ্য-গদ্য মিলিয়ে হাবীবুল্লাহ সিরাজীর গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫০টির অধিক। লিখেছেন উপন্যাস, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথাও। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’,‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’,‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘জয় বাংলা বলোরে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘কতো কাছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’ ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন:>> কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী: জীবন ও কর্ম
বাংলাদেশ.সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
ডিএন/এমকেআর