ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে খুন হওয়া চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৭) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র জানায়, নিহত চিকিৎসকের শরীরের আনুমানিক প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বুক, পিঠ ও শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় দগ্ধতার চিহ্ন দেখা গেছে।
নিহতের মামাতো ভাই রেজাউল হাসান বলেন, আজিমপুর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। পরে পরিবারের সবাই বসে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সাবিরার সঙ্গে বিভিন্ন সময় ফোনে কথা হত। তবে ওর বাসায় যাওয়া হত না কখনও। আমার এ মুহূর্তে কাউকে সন্দেহও হচ্ছে না। ঘাতকরা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যার পর তাকে আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা অবশ্যই দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও তাদের কঠোর বিচারের দাবি করছি। তাদের এমন বিচার হোক যেন এমন কোনো নৃশংস ঘটনা আর না ঘটে। কলাবাগানের ওই বাসায় সাবিরা থাকলেও তার দুই সন্তান নানীর বাসায় থাকে।
এদিকে ময়নাতদন্তের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ঢামেক হাসাপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ।
এর আগে চিকিৎসক সাবিরার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহমিনা রহমান। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, কুমিল্লার কোতয়ালী থানার ভরাসার বাজার এলাকার মৃত কাজী ওয়াহিদুর রহমান মেয়ে সাবিরা। তার মায়ের নাম সালমা বেগম।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মরদেহের বুক থেকে নিচের সম্পূর্ণ অংশ পোড়া ছিল। এছাড়া তার গলার বাম পাশে দু’টি, কানের নিচ ও পিঠের মাঝ বরাবর তিনটি ও কোমরে একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে। রোববার (৩০ মে) দিনগত রাত ১১টা থেকে সোমবার (৩১ মে) সকাল ১০টার মধ্যে যেকোনো সময় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এজেডএস/আরবি