সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনের গলাকাটায় মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গুরুতর আহত গৃহকর্তা হিজবুর রহমানের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।
বুধবার (১৬ জুন) ভোরে উপজেলার ফতেহপুরের একটি চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলো- ফতেহপুরের বিন্নাকান্দি ফুলেরতল এলাকার হিজবুর রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগম (৩৫) তার ছেলে মিজান (৮) মেয়ে তানিশা (৫)। এ ঘটনায় মুমূর্ষু অবস্থায় হিজবুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্বৃত্তরা একই পরিবারের চার জনকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এর মধ্যে মা, মেয়ে ও ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে কে বা কারা কি কারণে তাদের হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ডিআইজি ও এসপি স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই পরিবারের তিনজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গৃহকর্তা হিজবুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের মরদেহ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হিজবুরকে হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে তার দেহে অস্ত্রোপচার চলছে।
তিনি বলেন, ঘরের ভেতরে নৃশংসভাবে একই পরিবারের চার সদস্যের ওপর হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে গৃহকর্তা হিজবুরের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বাংলানিউজকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হিফজুরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এখনো তার জ্ঞান ফিরেনি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ওই পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছে দেখে ডাকতে যান প্রতিবেশীরা। ঘরের ভেতর থেকে ঘুঙ্গানির শব্দ শুনে তারা দরজায় ধাক্কা দিলে ঘরে ঢুকেই চারিদিকে রক্তের ছোপ দেখেন তারা। প্রতিবেশিদের আর্তচিৎকারে অন্যান্য প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন। এরপর খবরটি ছড়িয়ে পড়লে দূর-দুরান্ত থেকেও লোকজন বাড়িটিতে ভিড় করে। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২১
এনইউ/আরআইএস