ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কদমতলীতে নিহত ৩ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
কদমতলীতে নিহত ৩ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ঢাকা: রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার বাবা-মা ও মেয়েসহ তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।

তবে ময়নাতদন্তের চিকিৎসকরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হলেও একটি সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে তিনজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (২০ জুন) দুপুরের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন তিন নারী চিকিৎসক।

এদিকে শনিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার আগে কদমতলী থানা পুলিশ মরদেহ তিনটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে তিনজনকেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবুও উপস্থিত ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা পরীক্ষার জন্য ভিসেরা ও ব্লাড সংগ্রহ করেছেন। সে গুলো রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সূত্রে আরও জানায়, তিনজনকে হত্যার আগে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা এটাও পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর নির্ভর করছে।

এদিকে ঢামেক হাসপাতাল মর্গের একটি সূত্র জানায়, তিনটি মৃতদেহের পাকস্থলীতে লিকুইড জাতীয় খাবার পাওয়া গেছে এবং তিনজনেরই হাত-পা বাঁধা ছিল।

এদিকে ওয়ারী ডিভিশনের উপ- পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, নিহত তিনজনকেই প্রথমে নেশা জাতীয় কিছু খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে গ্রেফতার মেহজাবিন মুন আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

এর আগে, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তিনজনের  মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নিহত তিনজন হলেন- মাসুদ রানা (৪৫), তার স্ত্রী জোসনা ওরফে মৌসুমী (৪০) ও তাদের কন্যা সন্তান জান্নাত (১৮)। তিনজনকে হত্যা করে মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে খুনের কথা অবহিত করেন। পরে মেহজাবিন মুনকে গ্রেফতার করা হয়।

মেহজাবিন পুলিশকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড। পরিবারের সদস্যদের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ছিল তার। বিশেষ করে বোন জান্নাতুলের সঙ্গে মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের সম্পর্ক রয়েছে বলে তার সন্দেহ ছিল। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল তার। এ বিষয়টি মা-বাবাকে বলার পরও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো মায়ের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে।

গত ২০ জুন মেহজাবিন ইসলাম ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে তার চাচা সাখাওয়াত হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মেহজাবিন মুনকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন>>

** মা-বাবা-বোনকে হত্যা: রিমান্ডে মেহজাবিন
** কদমতলীতে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মুন আরেকটি হত্যার মামলার আসামি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার: মেয়ে-জামাইয়ের নামে মামলা
** বাবা-মা-বোনকে খুন করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন, বাকিদের খুনের হুমকি
** একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ: ধারণা পারিবারিক কলহের জের
 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।