ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৬ হটস্পট চিহ্নিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৬ হটস্পট চিহ্নিত

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। অত্র এলাকার ১০৩টি স্পটের পানি সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা এ ৬টি স্পট।

সোমবার (২৮ জুন) এক সভা শেষে এ কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জলবদ্ধতা নিরসনে এ সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, আগের ৩৬ টি ওয়ার্ডের পানি নামাতে বাধা সৃষ্টি হওয়া ৬ টি জায়গাকে হটস্পট হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি। ১০৩ টি স্পটের পানি নামতে গেলে বাধা সৃষ্টি হওয়া এ ৬ টি স্থানকে হটস্পট হিসেবে আমরা পেয়েছি। গত কিছুদিন যাবত এ ৬ টি স্থানের সমস্যা সমাধানে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে ভালো একটি অবস্থানের মধ্যে আনতে চেষ্টা করেছি। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে আমরা প্রতি সোমবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিয়মিত মিটিং করি। কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির সময় বাপকভাবে পানিজমে এ স্থানগুলো সম্পর্কে আমরা যদি জানি তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। তাই আমরা কিছু কিছু প্ল্যান করে ফেলেছি। এখন সময় এসেছে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের কাজ করার। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কাজ করার জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু করোনাকালের জন্য আমরা কাজগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারিনি। এক বছর আমরা পিছিয়ে গেছি এ কারণে।

নতুন ওয়ার্ডগুলো নিয়ে আতিক বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোর কোন কোন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তা আমরা চিহ্নিত করতে কাজ করেছি। এ সমস্যা সমাধান বিষয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছি। আগের ওয়ার্ডগুলোর পর নতুন ওয়ার্ডগুলোতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে ডিএনসিসি।

জলাবদ্ধতা নিরসনে পুলিশ প্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান আতিক। তিনি বলেন, পুলিশ প্লাজার পেছনের দিকে যে জায়গাগুলো আছে সেখনকার খালগুলোকে কীভাবে আরও চওড়া করা যায় এ বিষয়ে আমি আইজিপির সঙ্গে কথা বলেছি। জলবদ্ধতার বিষয়ে এর সমস্যা যদি আমরা চিহ্নিত করতে পারি, যদি বুঝতে পারি রোগটা কোথায়, তাহলে কিন্তু আমরা সেই হিসেবে ট্রিটমেন্ট দিতে পারবো। আর চিহ্নিত করতে না পারলে হাজার জায়গা খুঁজেও লাভ নেই। তাই আমরা পরিকল্পনা করেছি, সে অনুযায়ী কাজও চলছে আমাদের। পুরো কাজ শেষ করা গেলে আশা করা যায় জলবদ্ধতার সমস্যা অনেকাংশেই সমাধান করতে পারবো।

নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আতিক বলেন, এরই মধ্যে বর্ধিত মহানগরীর নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক, অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নে প্রায় চার হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

নতুন ও পুরাতন উভয় অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই সাধারণ ও সংরক্ষিত মোট ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সভায় নতুন ১৮ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।