ঢাকা: খালেদা জিয়াকে এখন একমাত্র রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা করে মুক্তি দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে এজন্য খালেদা জিয়াকে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইন মন্ত্রণালয় খাতে মঞ্জুরি দাবির ওপর সংসদ সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের পর আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে একথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারিমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কথা বলা হয়। কিন্তু আমরা যখন অনুমতি দিলাম তাকে বাসায় থেকে এবং দেশে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার তখন তারা সেটা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করেছেন। অর্থাৎ খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বাসায় নিয়ে গেলেন।
‘তাদের যে দরখাস্ত সেটা দণ্ডবিধির ৪০১ ধারায় গ্রহণ করা হয়। একটা দরখাস্ত যখন গ্রহণ করা এর পর কি আর কিছু করা যায়। ৪০১ ধারায় আবেদন গ্রহণ হয়ে গেছে এখন আর কিছু সম্ভব নয়। এটা যদি তারা দেখাতে পারেন যে আইনে সম্ভব তাহলে আমি আইন পেশা ছেড়ে দেবো। ’
আইনমন্ত্রী বলেন, তারা বলছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কথা। খালেদা জিয়া অসুস্থ ছিলেন। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আমরা তো চিকিৎসায় বাধা দেইনি। এখন তারা যে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলছেন, একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে একমাত্র মুক্তি দিতে পারে আইন-আদালত। আর সাজা মওকুফ করে মুক্তি দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। যদি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হয়। আর দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে হবে দোষ স্বীকার করে। দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা করে মুক্তি দিতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
এসকে/এএ