ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কালের কণ্ঠ শুভসংঘের ত্রাণ পেয়ে মুখে হাসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২১
কালের কণ্ঠ শুভসংঘের ত্রাণ পেয়ে মুখে হাসি

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় কালের কণ্ঠ শুভসংঘের ত্রাণ সহায়তা পেয়ে শত দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফুটলো। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখতে ১০ দিনের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ত্রাণ দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২ জুলাই) বৃষ্টির কারণে উপজেলার অডিটেরিয়ামে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই ত্রাণ বিতরণ করেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা তিরনইহাট ইউনিয়নের খয়খাটপাড়া নূরানীয়া ও হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায়ও এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার শাদাত সম্রাট, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুল হক, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আবদুল লতিফ তারিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন রঞ্জু, শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবনসহ শুভসংঘ পঞ্চগড় জেলার সভাপতি ফিরোজ আলম রাজীব প্রমুখ।

পঞ্চগড় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার শাহাদাত সম্রাট বলেন, দেশের এই করোনা মহামারির ক্রান্তিলগ্নে বসুন্ধরা গ্রুপ সারা বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের ত্রাণ সহযোগিতা করছে। ঢাকা থেকে দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এসে তারা অসহায়দের ত্রাণ সহযোগিতা করছে। তাই আমি পঞ্চগড়বাসীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। করোনা প্রতিরোধে সরকার সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। আপনারা সবাই সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলবেন। ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।  

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার সাত দিনের লকডাউন দিয়েছে। এই সময়ে আপনারা কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। কাঁচাবাজারের প্রয়োজন হলে বিকেল পাঁচটার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিনে আনবেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য নিজেকে সচেতন থাকতে হবে, কাজেই আপনারা সব সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এই সাত দিন নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন।

ত্রাণ পেয়ে চোখেমুখে স্বস্তির পরশ দেখা মেলে কামিনী রায়ের। তিনি বলেন, ‘করুনায় কামাই বন্ধ মেলা দিন। মাইনষের দেওয়া ত্রাণের ওপর বাঁচে আছি। বসুন্ধরা গ্রুপ হামাক ত্রাণ দিছে খুব ভালো লাগেছে। ’

ত্রাণ সহায়তা পাওয়া এনামুল হক নামের এক বৃদ্ধ বলেন, লকডাউনের মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। আমরা খুব চিন্তায় আছি কিভাবে সংসার চলবে। বসুন্ধরা গ্রুপের এই ত্রাণ পেয়ে খুব উপকার হলো। কিছুদিন খেতে পারব।

প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি আটা ও এক লিটার সয়াবিন তেল সহায়তা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।