সিলেট: লকডাউনে সীমিত পরিসরে বিয়ে করতে বেরিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বাড়ি ফিরলেন সেই বর-কনে।
শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মামলা দায়ের করে জরিমানা আদায় সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বর মো. জামাল হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নারাইনপুরের সূর্য মিয়ার ছেলে। বর্তমানে নগরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ছড়ারপাড় সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসার বিপরীতে একটি কলোনিতে থাকেন।
অন্যদিকে কনে বীনা বেগম কুমিল্লা জেলার আমির হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে তিনি সপরিবারে দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলা সাবেক সিটি কাউন্সিলর আশিক মিয়ার বাড়ির বিপরীতে একটি কলোনিতে বসবাস করে আসছিলেন। বরের সঙ্গে দুই যাত্রী, কনের সঙ্গে একজন যাত্রী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, অনেকটা নীরবেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে গাড়িতে করে নববধূকে নিয়ে ছড়ারপাড় বাসায় ফিরছিলেন বর। সীমিত পরিসরে বরযাত্রী নিয়ে ফেরার পথে ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। তাদের ছাড়াতে অপর প্রান্ত থেকে মোবাইলে ফোন আসে শ্রমিক নেতার। তাতে সায় দেন না ট্রাফিক সার্জেন্ট। কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ে করায় সিদ্ধান্তের জন্য ডাকেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সরেজমিন দেখা যায়, লাল বেনারসি পরা নববধূকে নিয়ে একটি নোহা মাইক্রোবাসে বসা ছিলেন বর। বর-কনেসহ গাড়িতে ছিলেন ৯ যাত্রী। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগেই চালক ছাড়া তিনজন সটকে পড়েন।
লকডাউন ভাঙার কারণ জিজ্ঞেস করলেও সদুত্তর দিতে পারেননি তারা। তখন বরের সঙ্গীয় যাত্রী সার্জেন্ট হাসানের কানে ফোন তুলে দেন। তিনি কথা বলে জানান, ওখানে মিডিয়া ও থানার লোকজন উপস্থিত, আমার কিছুই করার নেই।
ওসি মনিরুল ইসলাম তাৎক্ষণিক বলেন, কঠোর লকডাউন অমান্য করে বিয়ের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করলে পরে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
**‘সীমিত পরিসরে’ বিয়ে করতে গিয়ে ধরা বর-কনে!
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২১
এনইউ/এএ