নীলফামারী: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শতশত অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল শ্রমিক, নরসুন্দরসহ বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
রোববার (৪ জুলাই) কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজের মাঠে ও কলেজ সংলগ্ন নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা। এরপর উপজেলা পরিষদের মাঠেও সম্বলহীনদের মধ্যে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট শাহ্, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, নীলফামারী জেলা শুভসংঘের সভাপতি অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, কালের কণ্ঠের নীলফামারী প্রতিনিধি ভুবন রায় নিখিল, নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মো. সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
‘লকডাউনে’ ক্ষতিগ্রস্ত দেলোয়ার হোসেন নামের এক হোটেল শ্রমিক বলেন, ‘লকডাউনে’ আমাদের হোটেলগুলো বন্ধ। এখন আমাদের কোনো কাজ নেই। এই কয়দিন কিভাবে চলব চিন্তায় ছিলাম। বসুন্ধরা গ্রুপের এই সাহায্য দিয়ে আমরা ‘লকডাউনের’ সময়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে খেতে পারব।
ফণিশীল নামের এক নরসুন্দর বলেন, আমরা ছোট সেলুন চালিয়ে সংসার চালাই। করোনার কারণে আমাদের সেলুন বন্ধ। সরকার ঘর থেকে বের হতে না করছে। কোন রকমে বেঁচে আছি। বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পেয়ে খুব উপকার হলো। ‘লকডাউনের’ জন্য চিন্তামুক্ত হলাম।
নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমের জবেদা খাতুন বলেন, আমাকে দেখার কেউ নেই। এই আশ্রয়েই দিন চলে যায়। মানুষের সাহায্য খেয়েই বেঁচে আছি। তোমরা দিলে আমরা খেতে পারি।
জাহেতুন বেগম বলেন, আমি বৃদ্ধবয়সে পৃথক খাই। চাল-ডাল এনে দিলে বউ রান্না করে দেয়, না দিলে দেয় না। মানুষের থেকে ভিক্ষা করে খাই। তোমাদের খাবার দিয়ে ভালোভাবে খেতে পারব।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট শাহ্ বলেন, মহামারী সময়ে সরকার অসহায়দের নানাভাবে সাহায্য করছে। বেসরকারিভাবেও আপনারা সহায়তা পাচ্ছেন। বসুন্ধরা গ্রুপের এই খাদ্যদ্রব্য দিয়ে আপনারা সাত দিন খেতে পারবেন। তাই এই ‘লকডাউনের’ সময় আপনারা কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। আমি আমার উপজেলার পক্ষ হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
কেএআর