ঢাকা, সোমবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নিখোঁজ জেলে মিলনকে ১৩ বছর পর ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২১
নিখোঁজ জেলে মিলনকে ১৩ বছর পর ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার

পটুয়াখালী: ২০০৮ সালে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ ১৩ বছর পরে মিলন আকন (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে নিখোঁজ মিলনকে বরগুনার তালতলী থেকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা।

দুইদিন আগে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে খবর পান পার্শ্ববর্তী জেলা বরগুনার তালতলী উপজেলায় রাস্তায় তাকে পাগল অবস্থায় বসে থাকতে।

বৃহস্পতিবার সকালে তালতলীতে গিয়ে মিলনের মা মিনারা বেগম ও ভাই রুবেল আকন তার পরিচয় নিশ্চিত করে সমুদ্রপথে ট্রলারে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ফিরে আসা মিলন আকন কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ-আলম আকনের বড় ছেলে।

মিলনের বাবা শাহ-আলম আকন বলেন, আমার ছেলে মিলন ২০০৮ সালে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। তার সঙ্গে ফারুক (১২), খোকন (২৫) নামে দু’জন ছিল কেউই ফেরেনি, অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি তাদের। হঠাৎ দু’দিন হলো শুনতে পেয়েছি আমার ছেলে মিলনকে নাকি পাওয়া গেছে তালতলী। পরে ওর মা গিয়ে নিয়ে আসছে এবং এটা যে আমার ছেলে তা আমি পুরোপুরি নিশ্চিত।

মিলনের মা মিনারা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে আমি দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার বুকে ফিরে পেয়েছি। আমি অনেকদিন এই সাগরের পাড়ে পাড়ে ছেলের খোঁজে দিন-রাত কাটিয়েছি। আজ আমার আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই, আমার ছেলেটা এখন মানসিক অসুস্থ। আমি এখন ওরে চিকিৎসা করাবো ও সুস্থ হলে বলতে পারবো ও এতোদিন কোথায় ছিল।

কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির শরীফ বলেন, আমার ওয়ার্ডের মিলন নামে একটি ছেলে গত ২০০৮ সালে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। আজকে তাকে তার পরিবার তালতলী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসছে। তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন তার গায়ে থাকা যে কাটা দাগের কথা বলতেছে তা পুরোপুরি মিলছে এবং তার সঙ্গে কাজ করা জেলেদের মাধ্যমে আমি মিলনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি।

মিলনকে ফিরে পেয়ে তার পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা বইলেও তার মানসিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে কিছুটা চিন্তিতও তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।