ঢাকা, সোমবার, ১২ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভাঙনকবলিত মানুষের দুয়ারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিল শুভসংঘ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
ভাঙনকবলিত মানুষের দুয়ারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিল শুভসংঘ লের কণ্ঠ শুভসংঘের খাদ্য সহায়তা

গাইবান্ধা: লক্ষ্য ছুঁতে ছুটছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘের একদল সেচ্ছাসেবী। প্রান্তিক মানুষের দুয়ারে পৌঁছাতে হবে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা।

বেলার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে বালাসীঘাটে পৌঁছায় শুভসংঘ। একটি ট্রলার ভাড়া নিয়ে তাতে বহন করে ফজলুপুর ইউনিয়নের কোচখালি চরে নেওয়া হয় বসুন্ধরা চাল, ডাল, আটার প্যাকেজ।

ব্রহ্মপুত্র নদীঘেরা চরটিতে বন্যা আসলেই নদীর স্রোতে কানে ভেসে আসে বানভাসি মানুষের আহাজারি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় মাথা গোঁজার ঘর। দুবেলা খেটে খাওয়া মানুষের একরের পর একর ফসলি জমিন চলে যায় নদী গর্ভে। নিঃস্ব হয়ে যায় চরাঞ্চলের  মানুষগুলো। কেবল জীবন নিয়েই তারা ছুটে চলে নদীর এপাড় থেকে ওপাড়ের চরে। খোঁজে মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই। সেই নদী ভাঙনে কবলিত মানুষের দুয়ারে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে কালের কণ্ঠ শুভসংঘ।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কোচখালি ও গুপ্তমণি চরে ৩০০ অসহায় পরিবারের মধ্যে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।

দু’বছর ধরে গুপ্তমণি চরে থাকেন শাহাব উদ্দিন। এর আগে কতবার কত চরে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি তা বলতে পারবেন না। করোনাকালীন সময়ে তাদের প্রান্তিক এই অঞ্চলে কখনো পৌঁছায়নি কোনো ধরনের ত্রাণ সহায়তা। মঙ্গলবার বসুন্ধরার সহায়তা পেয়ে তিনি বলেন, দুই-পাঁচ বছর এক চরে থাকি। এরপর আবার অন্য চরে চলে যাই। নদীর ভাঙনেই আমরা সর্বহারা। টাকা-পয়সা জমাতে পারি না। ঘর-দুয়ার গড়তে পারি না। দু’বেলা খেতে পারি না। করোনার মধ্যে কেউ কোনো সাহায্যও দেয় নাই এবার। আপনারা চাল-ডাল-আটা দিলেন, কয়দিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে খেতে পারবো।

আলেয়া বেগম বলেন, সব সময় আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙে। আমরা কখনো বাড়িঘর বানিয়ে টেকাতে পারছি না। তিন-চার মাস ধরে এখনো ভাঙছে। আমরা ঠিকমতো খাবারও পাই না। কচুঘেচু শাকপাতা খাই। টাকা থুইয়া দেই। ভয়ে থাকি কহন (কখন) ঘর ভাইঙা যায়। কেউ খাবারও দেয় না। আজ আপনারা খাবার দিলেন। খুব উপকার হইলো। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম, শুভসংঘের গাইবান্ধার সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস লতা, সামিউল ইসলাম, রওজাতুন্নাহার লাবণ্য, মিনহাজুর রহমান নয়ন, সারাফ সোহাইবা নিহা, উম্মে কুলছুম তালুকদার, দেবী সাহা, রেহানা আক্তার রিসাত, উম্মে সালমা বৃষ্টি ও তানহা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।