সাভার (ঢাকা): ‘লকডাউন’ শিথিলের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারও (১৬ জুলাই) রাজধানী ঢাকার প্রবেশমুখ সাভারের সড়ক-মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে দুর্ভোগ চরমে ওঠে সাধারণ মানুষের।
শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই একদম উল্টো চিত্র দেখা গেছে এই অঞ্চলের সড়কগুলোতে। নেই কোনো যানজট, অল্প সংখ্যক পরিবহন চলছে সড়কে।
সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল ত্রিমোড় এলাকায় দেখা গেছে, সকাল থেকেই সাভারের উত্তরবঙ্গ সড়কে নবীনগর-চন্দ্রা, উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ রুটের টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড ও দক্ষিণবঙ্গ রুটের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানচলাচল ছিল একদম স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তীব্র যানজট থাকলেও আজ চিত্র উল্টো। মূলত গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই সাভারের সড়ক গুলোতে যানবাহনের চাপ কমতে থাকে।
সবচেয়ে ব্যস্ততম নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল ত্রিমোড় ছিল ফাঁকা। এমনকি সিগনালেও গাড়ির দীর্ঘসারি দেখা যায়নি। খানাখন্দ আর পানি জমে থাকায় সার্বক্ষণিক যানজট লেগে থাকা টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কেও ছিল না যানবাহনের চাপ।
সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই এডমিন) আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, যানজট নিরসনে আমাদের সকল ট্রাফিক পুলিশের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সর্বক্ষণিক সড়কে থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে। শুক্রবার বিকেল থেকেই গাড়ির চাপ কমা শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভোর থেকেই সাভারে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর থেকে বাড়াইপাড়া পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
কেএআর