ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শেষ মুহূর্তেও পাটুরিয়ায় যাত্রীদের ভিড়

সাজিদুর রহমান রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
শেষ মুহূর্তেও পাটুরিয়ায় যাত্রীদের ভিড় ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: সময় যত গড়াচ্ছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের সারি ততই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। পর্যাপ্ত ফেরি আর লঞ্চ না থাকায় ঘাট এলাকায় কিছু সময় নৌপথ পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফাঁকা ফেরি ও লঞ্চ আসা মাত্রই যাত্রী ও যানবাহনগুলো হুরোহুরি করে উঠে যাচ্ছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।  

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাটুরিয়া ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর পন্টুনের যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপের চিত্র দেখা যায়।  

প্রতিটি ফেরিতে দুই-তিনটি যানবাহন উঠতে পারলেও অধিকাংশ ফেরিগুলোতেই যাত্রীতে ভরে যাচ্ছে। কোনো ফেরিতেই নেই নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের বালাই। ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে প্রতিটি ফেরির যাত্রীদের।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালের দিকে কিছুটা চাপ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ প্রতি মুহূর্তেই বেড়ে চলেছে। দুপুরের পর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষ ছুটে আসছে ঘাট এলাকায়। যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিযোগে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাওয়া মানুষগুলো। যাত্রীর বাড়তি চাপের কারণে যানবাহনগুলো পার করতে কিছুটা বেগ পোহাতে হচ্ছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি)।  

সাভার থেকে আসা পোশাক কারখানার শ্রমিক আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, গত ঈদের মধ্যে বাড়িতে যেতে পারিনি। সেজন্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি ঈদ করতে। বাবা-মা নেই কিন্তু বংশের অন্যান্য মুরুব্বিসহ বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তাদের সঙ্গে বিশেষ কিছু সময় কাটানো এবং বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করাটাই আসলে মূল লক্ষ্য। এই সময়ে আসলে বাড়ি থেকে বেড় হওয়টাই ঠিক না। কিন্তু মনকে তো আর মানাতে পারলাম না, সেজন্য ঝুঁকি নিয়েই ঈদ করতে যাচ্ছি।  

আলফাডাঙ্গাগামী যাত্রী সোনিয়া সারলিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে। গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ি রয়েছেন। বছরের অন্য সময় তেমন একটা যাওয়া হয় না, তবে ঈদ এলে আর তাদের ছাড়া থাকতে পারি না। সেজন্যই যাওয়া। স্বাস্থ্যবিধির যে বিষয়টা আছে সে মানার চেষ্টা করেই যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এরকম অবস্থা বুঝতে পারলে যেতাম না, কারণ অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক কিংবা নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বেলা যত বাড়ছে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ ততই বেড়ে চলেছে। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে খালি ফেরি আসছে এবং পাটুরিয়া ঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে পুনরায় দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। ঘাট এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীর বেশ চাপ রয়েছে। আর এ চাপ সামাল দিতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চলাচল করছে ১৬টি ফেরি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।