ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উপকূল অঞ্চলে জীবন-জীবিকার সংকট বেড়েছে। দুর্যোগ কবলিত উপকূলের অনেক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শনিবার (৩১ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরা আন্দোলন আয়োজিত ‘করোনা পরিস্থিতি ও উপকূলের স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক এই অনলাইন সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, এস এম শাহজাদা ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার, সাতীরার আওয়ামী লীগ নেতা প্রনব ঘোষ বাবলু, স্ক্যান সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল, কুয়েটের শিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, খুলনার নাগরিক নেতা এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বরিশাল সিআরএসএস’র রবিন বল্লভ, আপন ফাউণ্ডেশনের মো. আফতাবুজ্জামান, পার্লামেন্ট নিউজের সাকিলা পারভীন, শিার্থী রিয়াদ হোসেন প্রমূখ। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন একাত্তর টিভির যুগ্ম প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান।
সভাপতির বক্তব্যে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি করোনা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, উপকূল অঞ্চলের মানুষ এখন পানির নিচে বসবাস করছে। মানুষের ঘরে বন্যা-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ফসল ফলাতে পুনরায় বীজ কোথায় যাবে সেটাও অনিশ্চিত। লকডাউন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কর্মসংস্থানের অভাব তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ওই অঞ্চলের মানুষ দিশেহারা। এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিকে অনুধাবন করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী জানান, গত বছর করোনার প্রকোপ কম থাকলেও এবার তার নির্বাচনী এলাকায় করোনা আক্রান্তের হার কয়েকগুণ বেড়েছে। কারণ এবার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি কম মানছে। নিজেরা সচেতন না হলে জোর করে আটকে রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।
করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অবেহলার কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা বলেন, করোনা সম্পর্কে কিছু অসচেতন মানুষের অপপ্রচার বা গুজব ছড়াচ্ছে। করোনা থেকে রক্ষা পেতে আইন অমান্য করার প্রবণতা ও অবৈজ্ঞানিক ভাবনা বা বিশ্বাস বাদ দিয়ে মাস্ক পরার পাশাপাশি বিধি নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার বলেন, উপকূলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা এক রাখলে হবে না। কারণ উপকূল অঞ্চলের কিছু সংকট রয়েছে। ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের সাথে এসব এলাকার মানুষদের জীবন যাপন করতে হয়। তাই সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ভিন্ন হওয়া জরুরি এবং অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রয়োজন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ভারতের সাথে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে অনেক বেশি মাত্রায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে। এরপর অপপ্রচার ও অসচেনতা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২১
এসই/এমজেএফ