ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেয় জেএমবি সদস্য খাত্তাব-আফনান 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নেয় জেএমবি সদস্য খাত্তাব-আফনান 

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনার সংশ্লিষ্টতা পেয়ে মো. শফিকুর রহমান হৃদয় ওরফে বাইতুল্লাহ মেহসুদ ওরফে ক্যাপ্টেন খাত্তাব ও মো. খালিদ হাসান ভূঁইয়া ওরফে আফনানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট।

গ্রেফতার হওয়া খাত্তাব-আফনান নব্য জেএমবির সদস্য।


ফোরকান নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকেই অনলাইনে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আর তারা জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল আল মামুনের সঙ্গে ওই মসজিদে বসেই এসব বোমা তৈরি করেছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান।

সোমবার (০২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান।

তিনি বলেন, রোববার (০১ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম লাল রঙের বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, ৩টি বিউটেন গ্যাসের ক্যান, ১ সেট রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, ৪ প্যাকেট ছোট সাইজের বিয়ারিং বল, ১০টি ক্রিসমাস বাল্ব, ২টি কালো রঙের ইলেকট্রিক টেপ, ১টি আইইডি তৈরির ম্যানুয়াল, হামলায় ব্যবহৃত লাল রঙের পালসার মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।  

তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার নোয়াগাঁও এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য এবং বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর মো. শফিকুর ও মো. খালিদ হাসানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান জন ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙালির নির্দেশে গত ১৬ মে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড ট্রাফিক বক্সে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। ত্রুটিপূর্ণ রিমোটের কারণে কয়েকবার চেষ্টা করেও বোমাটি বিস্ফোরণে ব্যর্থ হয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং রিমোটটি রাস্তার পার্শ্বে ফেলে চলে যায়। পরবর্তীতে সিটিটিসি'র বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে।

তিনি বলেন, মাহাদী হাসান জনের নেতৃত্বে মো. শফিকুর রহমান নব্য জেএমবি'র সামরিক শাখার ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। গ্রেফতার শফিকুর ও খালিদ হাসান বোমা তৈরির ম্যানুয়াল ও ভিডিও দেখে বোমা তৈরির অনলাইন প্রশিক্ষক ফোরকানের তত্ত্বাবধানে আব্দুল্লাহ আল মামুনের কক্ষে হামলায় ব্যবহৃত আইইডিটি তৈরি করে।

গ্রেফতার নব্য জেএমবির সদস্যরা অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে নাশকতা ও পুলিশকে হামলার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছিল । তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসির প্রধান বলেন, বর্তমানে জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই৷ জঙ্গি সদস্যরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। আনলাইনে তারা অ্যাক্টিভ রয়েছে। তবে জঙ্গি কার্যক্রম বাড়েনি। আমরাও জঙ্গিদের মনিটরিং করছি।


বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
এসজেএ/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।