ঢাকা: নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় ফের অভিযান চালিয়ে দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটকের পর বনানীতে অভিযান চালিয়ে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে মাদকসহ আটক করে র্যাব।
সিআইডির একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার (৮ আগস্ট) রাতে পুনবায় বনানীতে রাজের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। অভিযানে দুটি বিলাসবহুল গাড়ি (হ্যারিয়ার ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-৪৬১৭; আরএভি-৪ ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৫-৬৪০১ মডেলের একটি গাড়ি) জব্দ করে সিআইডি।
অভিযানে রাজের বাসা থেকে রাজ গ্রুপ অব কোম্পানির প্রোফাইল বই, নজরুল ইসলাম রাজ কর্তৃক জালাল উদ্দিনের সঙ্গে সম্পাদিত বায়নানাম চুক্তিপত্র, দলিল, তার পাসপোর্টের ফটোকপি জব্দ করে সিআইডি। এর আগে সিআইডি একযোগে পরীমনি, রাজ, পিয়াসা, মৌ, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ছয়জনের বাসায় অভিযান চালিয়েছিলো।
এ বিষয়ে সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, রাজের বাসায় রোববার রাতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি গাড়ি জব্দ করেছি। গাড়ি দুটো কীভাবে কেনা হয়, কার নামে কেনা, কোথায় থেকে, কবে কেনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছি। এই গাড়ি কেনার অর্থ কীভাবে পেয়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, রাজ অভিনেত্রী পরীমির বাসায় মদ সরবরাহ করতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কথিত মডেলদের দিয়ে বিভিন্ন পার্টি ও ইনডো প্রোগ্রামের নামে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ডেকে এনে মাদক বিক্রি ও ব্ল্যাকমেইলিং ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয়ে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, অভিনেত্রী পরীমনি কথিত মডেল পিয়াসা, মৌ, প্রজোযক রাজ ও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তাদের বাসা থেকে জব্দ করা আলামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্তের এ পর্যায়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদের প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নানা পেশার অনেক ব্যক্তির নাম জানা গেছে। তবে, তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
এদিকে, পরীমনি, নজরুল ইসলাম রাজ, পিয়াসা, মরিয়ম আক্তার মৌ ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদকের সাতটি মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মাদক মামলা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং ও প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে। সব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে সিআইডি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২১
এসজেএ/ওএইচ/